অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান শান্তি আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে কিয়েভের এক সরকারি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
ইউক্রেন বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত কেইথ কেলগ অবশ্য বলেছেন, সৌদি আরবে সোমবারের এই আলোচনায় কিয়েভ অংশ নেবে। কিন্তু ইউক্রেন সরকারের উচ্চপর্যায়ের সূত্রটি বলেছে, আলোচনায় কিয়েভের কোনো প্রতিনিধিদল উপস্থিত থাকবে না।
এমনকি ইউরোপীয় নেতাদেরও এই আলোচনায় যোগ দিতে বলা হয়নি। এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার জন্য আজ জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউরোপীয় নেতারা। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এই সম্মেলন হবে।
সম্মেলনের আয়োজক ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনায় ইউরোপকে যুক্ত করা হচ্ছে না—এ নিয়ে উদ্বেগ থেকে ইউরোপীয় নেতারা জরুরি এই সম্মেলন করছেন।
গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। ইউক্রেন নিয়ে একটি টালমাটাল সপ্তাহের পার হওয়ার পর এখন বিভিন্ন পক্ষ পৃথক বৈঠক করছে।
হোয়াইট হাউসের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ নিশ্চিত করেন, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার প্রথম মুখোমুখি আলোচনার জন্য তিনি গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সৌদি আরব গেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গতকাল জানান, তাঁর দূত স্টিভ উইটকফ ইতিমধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁরা প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করেছেন।
ইউক্রেন বিষয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন ইউরোপের নেতারা স্টিভ উইটকফ একজন ধনকুবের। তিনি রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার। তিনি ট্রাম্পের বন্ধু। গাঁজা রাখার অভিযোগে রাশিয়ায় কারাবন্দী থাকা এক মার্কিন শিক্ষকের মুক্তি নিশ্চিত করতে স্টিভ উইটকফ গত সপ্তাহে মস্কোয় গিয়েছিলেন।
সৌদি আরবে অনুষ্ঠেয় আলোচনায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজও যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপের এক সপ্তাহের কম সময়ের ব্যবধানে সৌদিতে এই বৈঠক হতে যাচ্ছে।
গত বুধবার ট্রাম্প ও পুতিন ফোনে কথা বলেন। এর মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের ক্ষেত্রে তিন বছরের স্থবিরতার অবসান ঘটে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বারবার বলে আসছেন, কিয়েভকে আলোচনার বাইরে রেখে করা কোনো শান্তিচুক্তি তিনি মেনে নেবেন না।
গতকাল মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসিকে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার কোনো সিদ্ধান্ত তিনি কখনোই গ্রহণ করবেন না।
Leave a Reply